রাকিব রিফাত,ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে বহিরাগত কর্তৃক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৬ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনার বিচার দাবি করে রোববার (৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী মোবারক হোসেন আশিক।

ভূক্তভোগী আশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মুশফিকুরের বাসা বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী এলাকায় বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসের বাসে এসে প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি দোকানে বসে ছিলেন আশিক ও তার বন্ধুরা। এ সময় হঠাৎ মুশফিকুর রহমানসহ পনের-বিশ জন স্থানীয় যুবক আশিকের উপর হামলা চালায়। এতে আহত হয়ে পড়েন আশিক। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তর করা হয়।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ এসময় তারা লঠিসোটা নিয়ে তার উপর হামলা করেন মুসফিকুর। এছাড়া দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাতের কথা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

অভিযুক্ত মুশফিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন।

এ দিকে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বিচার চেয়ে বিক্ষোভ নিয়ে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয় ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম ও ড. মুর্শিদ আলম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। পরদিন রোববার প্রক্টর ও ছাত্রউপদেষ্টা বরাবর অভিযোগপত্র দেন ভুক্তভোগী আশিক।

চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক রবিউল ইসলাম বলেন, মোবারক হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থীকে আহতাবস্থায় এখানে আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া স্থানান্তর করা হয়েছে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এই দুই পক্ষের মধ্যে এর আগেও এরকটি মারামারির ঘটনা ঘটেছিলো। ঐ ঘটনার সাথে এ ঘটনা রিলেটেড হওয়ায় উক্ত ঘটনার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিকে এ ঘটনা জানানো হয়েছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচভিত্তিক অনুষ্ঠানের টি শার্ট বিতরণ নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় মুসফিকুর ও রানা আহমেদ অভিসহ কয়েকজনকে মারধর করে আশিকসহ অন্যরা। এর প্রতিশোধ নিতেই আশিকের উপর এ হামলা চালানো হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে।